ভোটমুখী গুজরাতে কালো টাকার সন্ধানে ১৫০ জায়গায় অভিযানে এটিএস-জিএসটি

 গুজরাত বিধানসভার ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে কালো টাকার দাপট। আটদিন আগে রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর ইতিমধ্যে ৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও আয়কর আধিকারিকেরা (Gujrat ATS Raid)। ওই টাকার উৎস নিয়ে সন্দেহ আছে।

বেআইনি টাকার (Black Money) লেনদেনের পিছনে ভোটের অঙ্ক কাজ করছে ধরে নিয়ে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই মতো আজ সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে দেড়শো জায়গায় হানা দিয়েছে গুজরাত পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা (ATS) এবং জিএসটি আধিকারিকদের দল।

সরকারি সূ্ত্রের খবর, ভোটের মুখে পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি তৎপর হয়ে ওঠে, অতীতে একাধিকবার তা নজরে এসেছে। সেই কারণে এটিএসকেও নামানো হয়েছে।

অন্যদিকে, এই সুযোগে জিএসটি (GST) ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীদের ডেরায় হানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কারণ, কর ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীদের একাংশ ভোটের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের দিয়ে থাকে, যা আদতে কালো টাকা।

আগেরবার অর্থাৎ ২০১৭-র বিধানসভা ভোটের গোটা পর্বে গুজরাতে উদ্ধার হওয়া কালো টাকার পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি। এবার ভোট ঘোষণার পর আটদিন না গড়াতেই ৫২ কোটি উদ্ধার হয়েছে। ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে এই ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন।

ভোটে কালো টাকার ব্যবহার কম-বেশি সব রাজ্যেই হয়ে থাকে। তবে কমিশনের এতদিন দুশ্চিন্তা ছিল মূলত তামিলনাড়ুকে নিয়ে। ক্রমে অনেক রাজ্যেই কালো টাকা ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। গুজরাত সেই রাজ্যগুলির অন্যতম।

আজ জিএসটি-এটিএস-এর যৌথ অভিযান চলছে সুরাত, আমদাবাদ, জামনগর, ভরুচ এবং ভাবনগরে। আগামী মাসে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই অভিযানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য ১৮২ আসনে ভোট নেওয়া হবে দু-দফায়, ১ ও ৫ ডিসেম্বর। প্রথম দফায় ৮৯টি দ্বিতীয় দফায় ৯৩টি আসনে ভোট হবে।
 খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news