ভারতীয় অল-রাউন্ডার শর্দুল ঠাকুর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ভারতের দলে ফিরতে চান তিনি। আর সেজন্য তিনি টার্গেট করছেন দলের সেই গুরুত্বপূর্ণ নম্বর ৮ অবস্থানটি, যা বর্তমানে নজর কেড়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা হারশিত রানা।
ইংল্যান্ড সফরের জন্য দলে জায়গা পেলেও তেমন কোনো গড়তে না পারায় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন শর্দুল। কিন্তু নতুন কোচ গৌতম গম্ভীরের 'ব্যাটিং глубину'-কে প্রাধান্য দেওয়ার নীতিতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন তিনি।
২০২৭ বিশ্বকাপের লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন শর্দুল?
শর্দুল ঠাকুর সরাসরি বলেছেন, তিনি ২০২৭ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন। বিশেষ করে দলের নম্বর ৮ অবস্থানটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি, যে জায়গাটিতে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হারশিত রানা।
গৌতম গম্ভীরের প্ল্যানে যেসব অল-রাউন্ডার ব্যাটিং-বোলিং দুটোতেই ভূমিকা রাখতে পারেন, তাদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর এই কৌশলই শর্দুলকে দিল নতুন আশা। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সম্প্রতি ব্যাট হাতে কিছু চমৎকার পারফরম্যান্সের পর তিনি আরও আত্মবিশ্বাসী।
হারশিত রানার চেয়ে শর্দুলের সুবিধা-অসুবিধা কী?
হারশিত রানাকেও ঠিক একই কারণে দলে নেওয়া হচ্ছে – তিনি দ্রুতগতির বোলার হওয়ার পাশাপাশি নিচের সারিতে কিছু দরকারি রানও করতে পারেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচগুলোতে যেখানে বেশি গতির বোলারদের সুবিধা, সেখানে শর্দুলের ভরসা ভ্যারিয়েশন। আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অর্থনীতি rateও বেশ খারাপ।
রঞ্জি ট্রফিতে ক্যাপ্টেন হয়েও প্রভাব ফেলতে পারেনি?
আজিঙ্ক্য রাহানéর পরে মুম্বই দলের captaincy পেয়েছিলেন শর্দুল। captain হিসেবে শুরুটা ছিল বেশ ভালো – জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে জয়, তারপর ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে ড্র। তবে এবারের মৌসুমে ব্যাট হোক বা বল হোক, কোনোদিয়েই মতো impact তৈরি করতে পারেননি তিনি। চার ইনিংসে মাত্র তিনটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটেও তেমন ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে গত রঞ্জি সিজন এবং পশ্চিম অঞ্চলের জন্য দুলীপ ট্রফিতে ব্যাট হাতে। এই ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর দাপটের কারণেই তিনি আইপিএলে লখনউ সুপার জায়েন্টস এবং ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে শর্দুলের পরিসংখ্যান কী বলে?
ভারতীয় দলে হয়তো এখন তিনি নিয়মিত নন, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি এখনও বেশ সক্রিয়। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০০-এরও কম ম্যাচে 2697 runs। দুটি সেঞ্চুরি ও সতেরোটি half-century সহ গড় প্রায় ২৩, যা নম্বর ৮ বা ৯-এ ব্যাটিং করার জন্য মোটামুটি acceptable। বল হাতে নিয়েছেন ৩০৫টি উইকেট।
তিনি ভারতের হয়ে তিনটি ফরম্যাটেই খেলেছেন, এবং টেস্ট ও ওয়ানডে – উভয় ফরম্যাটেই করেছেন। তিনি সেই ধরনের বিগ-হিটার ফিনিশারও হতে পারেন, যারা নন-স্পেশালist ব্যাটার হয়েও নিচের সারিতে দরকারি কিছু রান করে দেন।
সবমিলিয়ে, দলে ফেরার তাঁর সম্ভাবনা এখনও জোরালো হলেও, নির্বাচকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বোলিং নিয়ে তাঁকে অনেক বেশি কাজ করতে হবে।
