তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে হতাশাজনক হারের পর এবার সিরিজে টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে পাকিস্তান দল। এই আর্টিকেলে দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ এবং দলের পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকবে সালমান আলি আগার নেতৃত্বাধীন দলটির। স্বস্তির বিষয় হলো, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের রেকর্ড বেশ ভালো। এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

এই নির্দিষ্ট ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই জিতেছে স্বাগতিক পাকিস্তান, আর প্রোটিয়ারা জিতেছে একবার। এখানে খেলা তিনটি ম্যাচই ছিল ২০২১ সালে দুই দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের অংশ।

একাদশ পরিবর্তন হবে কি?
সিরিজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, তাই খুব দ্রুত দলে বড় কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলা একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে পাকিস্তান। তবে, আশা থাকবে যেন দলের সব বিভাগেই এবার আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখা যায়।

ওপেনার: সাহেবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব

মিডল অর্ডার ও অলরাউন্ডার: বাবর আজম, সালমান আগা (অধিনায়ক), উসমান খান (উইকেটরক্ষক), হাসান নওয়াজ, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ

বোলার: শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ

ব্যাটারদের নিতে হবে গুরুদায়িত্ব
পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা করতে নামবেন সাহেবজাদা ফারহান এবং সাইম আইয়ুব। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইবে এই জুটি যেন দলকে একটি ভালো শুরু এনে দেয়। ব্যক্তিগতভাবে এই দুই ওপেনারের লক্ষ্য থাকবে, পাওয়া ভালো শুরুটাকে বড় ও ম্যাচ জেতানো ইনিংসে রূপ দেওয়া।

তবে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটির পর মিডল অর্ডার একেবারেই ব্যর্থ হয়েছিল। বাবর আজম, সালমান আগা, উসমান খান, এবং হাসান নওয়াজের মতো তারকারা দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিপক্ষে একেবারেই দিশেহারা মনে হয়।

সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই মিডল অর্ডারকে দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে এবং ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখতে হবে। দলের রান সংগ্রহের মূল দায়িত্বটা নিতে হবে টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটারকেই—তা সেটা প্রথম ব্যাট করা হোক বা রান তাড়া করা।

বোলারদের ভুল শুধরাতে হবে
বোলিং লাইনআপের ক্ষেত্রে প্রথম ম্যাচে দেখা গেছে, দ্রুতগতির বোলাররা শুরু এবং শেষের দিকে বেশি রান দিয়েছেন। অভিজ্ঞ পেসার শাহীন আফ্রিদি বিশেষ করে ১৭তম ওভারে প্রচুর রান দিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দেন। শাহীন চাইবেন, আগের ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে আরও অনেক ভালো পারফর্ম করতে।

আফ্রিদির বোলিং পার্টনার নাসিম শাহ অবশ্য শুরুতে কিছুটা খরুচে হলেও নিজের তৃতীয় ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। তাঁর সেই ঘুরে দাঁড়ানোই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০০ রানের নিচে আটকে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নাসিম চাইবেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নতুন বল হাতে একই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে, যাতে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই কম রানে বেঁধে রাখা যায়।

পাওয়ারপ্লেতে রান বন্যার মধ্যেও পাকিস্তানের স্পিনাররা দারুণ কাজ করেছেন। ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোতে তারা রান আটকেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন। বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। অলরাউন্ডার সাইম আইয়ুবও দারুণ বোলিং করেন। এই জুটি দ্বিতীয় ম্যাচেও তাদের ভালো কাজ ধরে রাখতে চাইবেন।

 

news