ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই বিধ্বংসী ব্যাটার অ্যালেইক অ্যাথানাজে ও শাই হোপের ঝড়ো ব্যাটিং থামিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১৫০ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত কামব্যাকে শেষ বেলায় ধসে গেল ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপ!

 উড়ন্ত সূচনা, কিন্তু এরপরই টাইগারদের থাবা!
শুরুতেই তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেও, অ্যাথানাজে ও শাই হোপ যে ছন্দে ব্যাট করছিলেন, তাতে অনেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রায় ২০০ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ গড়তে দেখছিলেন। কারণ, মাত্র ১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর, ক্যারিবীয়রা ১১ ওভার শেষে তুলে ফেলেছিল ১০৫ রান! আর উইকেট পড়েছিল ওই একটিই।

শতরানের জুটি গড়ে ফিফটি! এরপরই শুরু আসল খেলা...
দলের এমন শক্তিশালী অবস্থানের পেছনে মূল অবদান ছিল অ্যাথানাজে ও হোপের শতরানের জুটি! দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ার পথে দুজনেই তুলে নেন ঝলমলে ফিফটি। যখন মনে হচ্ছিল, রানের গতি আরও বাড়বে এবং তাণ্ডব শুরু হবে, ঠিক তখনই জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হানেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন! তাঁদের ঘূর্ণি জাদুতেই ধসে যেতে শুরু করে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং অর্ডার।

 মুস্তাফিজের শেষ ওভারের জাদু: দারুণ কামব্যাক বাংলাদেশের!
শেষ ওভারে এসে জোড়া আঘাত হেনে ম্যাচে বাংলাদেশকে এক দারুণ কামব্যাক এনে দেন 'কাটার মাস্টার' মুস্তাফিজুর রহমান! তাঁর স্লোয়ার আর কাটারের সামনে অসহায় দেখায় ক্যারিবীয় ব্যাটারদের। এতে দুইশ রান তো দূরের কথা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোনোমতে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়তে সক্ষম হয়।

আশ্চর্যজনকভাবে, শেষ ৫৪ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ৪৪ রান যোগ করতে পেরেছে! আর এই সময়ের মধ্যে তারা হারিয়েছে ৮টি মূল্যবান উইকেট!

 কে কত রান করলেন, কে পেলেন কত উইকেট?
অধিনায়ক শাই হোপ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন।

অ্যালেইক অ্যাথানাজে করেন ৫২ রান।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে:

বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন।

অন্যদিকে, দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ উভয়েই ২টি করে উইকেট তুলে নেন।

 

news