আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এ প্যাট কামিন্স খেলবেন কি না—তা নিয়ে এবার প্রকাশ্যেই অনিশ্চয়তার কথা জানালেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ঘরের মাঠে চলমান অ্যাশেজ ২০২৫-২৬ শেষে আপাতত বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়া শিবিরে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্বকাপের আগে বিশ্রামেই অগ্রাধিকার প্যাট কামিন্সের
অ্যাশেজে নিজের দায়িত্ব শেষ করে প্যাট কামিন্স এখন তাকিয়ে পরের বড় লক্ষ্য—আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এর দিকে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় ফেব্রুয়ারির শুরুতে বসতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের আগে তিনি বিশ্রাম নিতে চান। চোট কাটিয়ে সতর্কভাবে মাঠে ফেরার পর কামিন্স মনে করছেন, এখন বিশ্রাম নেওয়াই সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজের শেষ দুই টেস্ট না খেলার সিদ্ধান্তও নেন তিনি। কারণ হিসেবে জানান, টানা টেস্ট খেলা তার শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। এখন তার মূল লক্ষ্য—ফিট থাকা এবং বড় মঞ্চের জন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা।
কেন শেষ দুই টেস্ট খেলেননি কামিন্স
এমসিজিতে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে চ্যানেল সেভেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কামিন্স বলেন,
“আমি ভালোই অনুভব করছি। অ্যাডিলেড টেস্টটা কোনো সমস্যা ছাড়াই শেষ করতে পেরেছি, এটা স্বস্তির। কয়েক সপ্তাহ আগেও আমি পিঠের চোট থেকে ফিরছিলাম। তাই টানা টেস্ট ম্যাচ খেলা তখন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই একটু থেমে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের মনে হয়েছে।”
তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, বিশ্বকাপের আগে নিজেকে তরতাজা রাখতে এখনই বাড়তি চাপ নিতে চান না।
অস্ট্রেলিয়ার দুশ্চিন্তা বাড়ছে
কামিন্সের এই অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনায় কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে অধিনায়ক ও প্রধান পেসারের উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য। তাই তার বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলে আলোচনা এখন তুঙ্গে।
বিশ্রাম শেষে কামিন্স ঠিক কবে মাঠে ফিরবেন এবং বিশ্বকাপে তার ভূমিকা কী হবে—সেটাই এখন অজি সমর্থকদের বড় প্রশ্ন।
