স্টারশিপ টেস্ট ফ্লাইটের সময়সূচী বৃহস্পতিবার পুনঃনির্ধারণ
এটি হবে স্পেসএক্স স্টারশিপের প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। চাঁদ, মঙ্গল এবং তার বাইরে নভোচারীদের পাঠানোর জন্য ডিজাইন করা এই রকেট এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বাধ্য হয়ে সোমবার এটির উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়েছিলো।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে বুস্টারে চাপের সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিটেরও কম সময় আগে বিশাল এই রকেটের উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত মুহূর্তে বুস্টারের বিশাল ইঞ্জিনগুলো জ্বালানোর ঠিক আগে ঘড়ির কাঁটা ১০ সেকেন্ড যেতেই উৎক্ষেপণ থামিয়ে দেয়া হয়।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক টুইট করে বলেছেন, এটি টেক্সাসের বোকা চিকার স্পেসএক্স স্পেসপোর্ট স্টারবেস থেকে এ উৎক্ষেপণের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আজ অনেক কিছু শিখেছি, এখন প্রোপেল্যান্ট আফলোড করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে আবার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার লিফটঅফের জন্য নতুন লক্ষ্য ঘোষণা দেয়ার আগে, স্পেসএক্স বলেছিল যে; রকেটের জ্বালানি তরল মিথেন এবং তরল অক্সিজেন পুনর্ব্যবহার করতে উদ্বোধনী ফ্লাইটটি কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা বিলম্বিত হবে।
স্পেসএক্স টুইটারে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল টাইম সকাল ৮:২৮ মিনিটে (১৩২৮ জিএমটি) নতুন লঞ্চ উইন্ডোটি খোলা হবে এবং উৎক্ষেপন পর্ব ৬২ মিনিট স্থায়ী হবে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ২০২৫ সালের শেষের দিকে মহাকাশচারীদের চাঁদে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্টারশিপ মহাকাশযান বেছে নিয়েছে। এটি মিশন আর্টেমিস-৩ নামে পরিচিত হবে।
স্টারশিপ একটি ১৬৪ ফুট (৫০-মিটার) লম্বা মহাকাশযান নিয়ে গঠিত যা ক্রু এবং পণ্যসম্ভার বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি একটি ২৩০ ফুট লম্বা প্রথম পর্যায়ের সুপার হেভি বুস্টার রকেটের উপরে স্থাপন করা হয়েছে।
স্পেসএক্স ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ের বুস্টারে ৩৩টি র্যাপ্টর ইঞ্জিনের একটি সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় কিন্তু স্টারশিপ মহাকাশযান এবং সুপার হেভি রকেট কখনও একসঙ্গে উড়েনি। ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট ফ্লাইটের উদ্দেশ্য হল তাদের পারফরম্যান্সের সমন্বয়ে মূল্যায়ন করা।
মাস্ক বলেছেন, যদি এটি কক্ষপথে যায় তবে এটি হবে একটি বিশাল সাফল্য। লক্ষ্য হল স্টারশিপকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলা এবং প্রতি ফ্লাইটের দাম কয়েক মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা।
মাস্ক আরো বলেন, শেষ উদ্দেশ্য হল চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে ঘাঁটি স্থাপন করা এবং মানুষকে একটি বহু-গ্রহের সভ্যতার পথে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, আমরা সভ্যতার এই সংক্ষিপ্ত মুহুর্তে আছি যেখানে বহু-গ্রহের প্রজাতি হওয়া সম্ভব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি মনে করি আমরা একটি সুযোগ পেয়েছি।
এনবিএস/ওডে/সি


