সুদানের কর্ডোফান অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় শতাধিক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আল জাজিরা এই মর্মান্তিক খবর নিশ্চিত করেছে।

সুদানের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ এখন তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে। দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং সরকারি সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই নতুন এক ভয়াবহ উচ্চতায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি আরএসএফ একটি সেনা ঘাঁটি দখলের পর থেকেই এলাকাটিতে ব্যাপক হামলা শুরু হয়। এই নতুন সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০৪ জন নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ও হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

এখন মূল লড়াই পশ্চিমের দারফুর থেকে সরে এসে কর্ডোফানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে। সবচেয়ে নির্মম হামলাটি হয়েছে দক্ষিণ কর্ডোফানের কালোগি এলাকায়। সেখানে একটি শিশুদের স্কুল (কিন্ডারগার্টেন) এবং একটি হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। এই নৃশংস আক্রমণে ৪৩টি শিশু এবং ৮ জন নারীসহ মোট ৮৯ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, ১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কর্ডোফানের রাজধানী কাদুগলিতে জাতিসংঘ মিশনের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন এবং আরও ১২ জন আহত হন। পরের দিন, ১৪ ডিসেম্বর, একটি সামরিক হাসপাতালে হামলায় নয়জন নিহত ও ১৭ জন আহত হন বলে সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়।

সরকার সমর্থিত সুদান সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) কালোগির এই শিশু ও নারী হত্যার হামলার জন্য আরএসএফ-কে দায়ী করেছে। তবে এই আধাসামরিক গোষ্ঠী এখনো কোন মন্তব্য বা জবাব দেয়নি।

কিওয়ার্ডস:

news