যুক্তরাষ্ট্র আর ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি প্রায় বন্ধ করে দিতে দেশটির সঙ্গে জড়িত সব নিষিদ্ধ তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ অবরোধ জারি করেছেন। ভেনেজুয়েলা এই পদক্ষেপকে সরাসরি ‘যুদ্ধোন্মাদ হুমকি’ বলে চিহ্নিত করেছে।
মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বাধীন ভেনেজুয়েলা সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার অভিযোগ, মাদুরো সরকার মাদক পাচার, মানব পাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে একটা তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে, যা দেশটির জন্য বড় ধাক্কা। এরপর আরও ছয়টা জাহাজের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ভেনেজুয়েলা এখন দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ঘেরা এবং ভবিষ্যতে এটা আরও শক্তিশালী করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও অভিযোগ করেছেন, মাদুরো সরকার চুরি করা তেল বিক্রি করে মাদক সন্ত্রাস, মানব পাচার, হত্যা ও অপহরণে টাকা জোগাচ্ছে। যদিও এখনো যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ দেখায়নি যে অভিযানে লক্ষ্যবস্তু জাহাজগুলো সত্যি মাদক বহন করছিল। উল্লেখ্য, ফেন্টানিলের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা নয়।
গত সেপ্টেম্বর থেকে এই অঞ্চলে অভিযানে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। একই সময়ে ক্যারিবীয় সাগরে হাজার হাজার সেনা এবং বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভেনেজুয়েলা পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করতে চায়। জব্দ হওয়া ‘স্কিপার’ নামের জাহাজ নিয়ে মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র জাহাজটি চুরি করেছে এবং নাবিকদের অপহরণ করেছে।
এদিকে, মার্কিন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জোয়াকিন কাস্ত্রো ট্রাম্পের ঘোষণাকে সরাসরি যুদ্ধের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেসে একটা প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা শত্রুতা বন্ধের পথ খোঁজা যায়।
