কর্মক্ষেত্রে কঠিন সময় পার করছে নারীরা: আইএলও

বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীরা প্রত্যাশার চেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। গত সোমবার জাতিসংঘ বলেছে, গত দুই দশকে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য ও বেতন বৈষম্যের খুব সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলেছে, চাকরি নেই এবং চাকরি খুঁজছেন এমন ব্যক্তিদের শনাক্তে তারা নতুন সূচকের উন্নয়ন করেছে।

আইএলও বলেছে, এই সূচকে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অনেক দুর্বল অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। আইএলওর নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীদের চাকরি খোঁজা এখন অনেক কঠিন। বিশ্বব্যাপী ১৫ শতাংশ নারী চাকরি করতে আগ্রহী। তবে তারা চাকরি পাচ্ছেন না। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ১০.৫ শতাংশ। দুই দশক ধরে এই লিঙ্গ বৈষম্য একই রকম রয়েছে। তবে সরকারি হিসাবে নারী ও পুরুষের বেকারত্বের হার প্রায় একই।

তবে বেকারত্ব নির্ধারণের যে মানদণ্ড রয়েছে তাতে নারীদের বাদ দেওয়া হয়। সংসারের অবৈতনিক কাজগুলো নারীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দায়িত্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ধরনের দায়িত্বের কারণে নারীরা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া থেকে কেবল বঞ্চিত হন না, বরং সক্রিয়ভাবে চাকরি খোঁজা বা স্বল্প সময়ের মধ্যে চাকরি করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু বেকারত্ব নির্ধারণের জন্য এগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।

বিশ্বব্যাপী পুরুষের আয়ের অর্ধেকের সামান্য বেশি উপার্জন করেন নারী। অর্থাৎ পুরুষের আয় ১ ডলার হলে নারীর আয় ৫১ সেন্ট। বেতনের এই বৈষম্য অঞ্চলভেদে ভিন্ন। নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় নারীর আয় অর্ধেকেরও কম। আইএলও বলছে, চাকরিতে নারীদের নিম্ন হার এবং আয়ের ক্ষেত্রে গড় নিম্ন হার এই বেতনের বৈষম্যের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।

এনবিএস/ওডে/সি

news