মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে সক্ষম নয়: আবদুল মালেক

ইয়েমেনের জনপ্রিয় প্রতিরোধ আন্দোলন আনসারুল্লাহ'র শীর্ষ নেতা সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি বলেছেন, তার দেশের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে এখন এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনাক্ত করতে বা প্রতিহত করতে সক্ষম নয়। 

সম্প্রতি রাজধানী সান্আ'য় তায়িজ প্রদেশ থেকে আগত গোত্র প্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় এই তথ্য জানান আবদুল মালিক। গত বুধবারের ওই সমাবেশে তিনি বলন, আমাদের কাছে এখন অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এমনসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি দুরে যেতে পারে এবং নতুন মার্কিন প্রতিরক্ষা সিস্টেম সেসবকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

আনসারুল্লাহর নেতা বলেন, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকাতে পারে এমন সিস্টেম সংগ্রহ করতে সৌদি সরকার বিশ্বের সব দেশের দুয়ারে ধর্না দিয়েছে, এমনকি রিয়াদ এ বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের শত্রু ইসরাইলেরও সহায়তা চেয়েছে! ইয়েমেনি সেনারা উন্নত ড্রোন নির্মাণসহ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এরিমধ্যে  সব ধরনের ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে হুথি নেতা জানান।  

আবদুল মালেক হুথি আরও  বলেন,  (সৌদি-)আগ্রাসন ঠেকানোই এখন সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, কারণ সামরিক হুমকিগুলো এখনও রয়ে গেছে এবং শত্রুরা এখনও সমরাস্ত্র সংগ্রহ করছে যাতে পরবর্তীতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টিতে ইন্ধন যোগানো যায়। ইয়েমেনে ইসরাইলের জন্য পথ খুলে দেয়া ও এই দেশটিতে ইসরাইলি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাই সৌদি আগ্রাসানের লক্ষ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বর্তমানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইয়েমেনের হুথি-নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ-বিরতির সমঝোতা মেনে নেয়ার ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও রিয়াদ প্রায়ই এ সমঝোতার নানা শর্ত লঙ্ঘন করছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন সেনারা জ্বালানীবাহী ইয়েমেনি জাহাজগুলো আটক করছে যুদ্ধ-বিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে। সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ নানা স্থাপনায়  ইয়েমেনিদের ব্যাপক ড্রোন হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েই রিয়াদ ইয়েমেনের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতির মত আপোষ করতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত দোসরা এপ্রিল পবিত্র রমজান মাসের শুরু উপলক্ষে যুদ্ধ-বিরতি শুরু হয় এবং সম্প্রতি আরও দুই মাসের জন্য তা নবায়ন করতে সম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো।

সৌদি সরকার ২০১৫ সালে কয়েকটি আরব দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইয়েমেনে আগ্রাসন শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও পশ্চিমা শক্তিগুলো ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনে অস্ত্র যোগানোসহ নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news