ভারতে সফররত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে বিরোধী দলের দু'জন শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে, কংগ্রেসেরই আরেক এমপি শশী থারুর সেই ভোজসভায় যোগ দিতে বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতের এই আয়োজনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শশী থারুর বলেন, "বিরোধী দলীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন ভিত্তিতে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে, তাও আমি বুঝতে পারছি না। তবে আমন্ত্রণ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।"
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত প্রায় ছয় মাস ধরে শশী থারুরের সঙ্গে নিজ দল কংগ্রেসের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এমনকি, তিনি শীঘ্রই ক্ষমতাসীন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
এদিকে, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকেই সফররত রাষ্ট্রপ্রধান পুতিনের সঙ্গে বিরোধী নেতাদের বৈঠককে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সংসদের বাইরে তিনি বলেন, "অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের সময় একটা ঐতিহ্য ছিল, বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গেও দেখা করতেন। কিন্তু এখন... সরকারই যেন বলে দিচ্ছে, বিরোধীদের সঙ্গে দেখা করার দরকার নেই।"
পক্ষাবলম্বনের ইঙ্গিত?
গত কয়েক মাস ধরেই শশী থারুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সরকারের সমালোচনার বদলে অনেক সময় তাদের পক্ষেই কথা বলছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। লোকসভায় চারবারের এই কংগ্রেস সদস্যের এমন ভূমিকায় দলের অনেক নেতাই 'দ্বিধায়' রয়েছেন।
এই মাসের শুরুতেও 'ভারতীয় রাজনীতি একটি পারিবারিক ব্যবসা' শিরোনামে একটি লেখায় থারুর কংগ্রেসের মতো পরিবারকেন্দ্রিক দলগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তবে গত জুন মাসে কংগ্রেসের সঙ্গে নিজের উত্তেজনা বাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "মোদিজির প্রশংসা করা মানে এই নয় যে, আমি তার দলে যোগ দিতে লাফিয়ে পড়ব... যেমনটা অনেকে ইঙ্গিত করছেন।"
