জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে শেষ করে দিতে চায় ব্রিটেন ও আমেরিকা: জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার

জাতিসংঘের নির্যাতন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর নিলস মেলজারের মতে, অ্যাসাঞ্জ রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে গোপন আঁতাত হয়েছে, তারা উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে জনসমক্ষেই ধ্বংস করে দেবে। জুলিয়ানের মতো আর যারা তাদের কুকীর্তি তুলে ধরতে পারে, তাদের শক্তভাবে ঠেকাবে।

ব্রিটিশ আদালতের রায়ের পর অ্যাসাঞ্জের ভবিষ্যত নির্ভর করছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের ওপর। তিনি এ মাসেই সিদ্ধান্ত জানাবেন, বিচারের মুখোমুখি করতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে কি না। 

খ্যাতনামা সাংবাদিক জোনাথন কুক মনে করেন, প্রীতি প্যাটেল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই অবস্থান নেবেন। যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হলে ‘সাংবাদিকতার নামে গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিচার হবে। 

মার্কিন আদালতে তার ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। ঠিকানা হবে দুর্ভেদ্য সুপারম্যাক্স জেলের আইসোলেশন রমে, রাখা হবে একদম জনবিচ্ছিন্ন করে। 

অবশ্য গত তিন বছর লন্ডনের হাই সিকিউরিটি বেলমার্শ কারাগারে তেমন জীবনই কাটাচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ এনে বিচার করেছে। ২০০০ সালে উইকিলিকস যে গোপন সরকারি দলিলাদি প্রকাশ করেছিলো, তাতে স্পষ্ট হয়ে গেছে ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলো ওয়াশিংটন ও মস্কো। কিন্তু এই অপরাধের জন্যে একজন ব্যক্তিকেও বিচারের আওতায় আনা হয়নি। 

news