সুদানে মানবিক বিপর্যয়, বাস্তুচ্যুতরা আশ্রয় নিচ্ছেন মিসরে

সংঘাত-সংঘর্ষ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সুদানিরা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দিক-বিদিক ছুটছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরে ইতোমধ্যেই চার মিলিয়ন সুদানি আশ্রয় নিয়েছে। আরো সুদানি দেশটির দিকে ছুটছে। কিন্তু মিসর কত সুদানিকে আশ্রয় দিতে পারবে তা নিয়ে মিসরীয়রা চিন্তিত। 

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু সুদানি বলে কথা নয়, মধ্যপ্রাচ্য বা পূর্ব আফ্রিকার যেখানে যেখানে সংকট তৈরি হচ্ছে, সেখানকার বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা আশ্রয়স্থল হিসেবে মিসরকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অথবা তারা ইউরোপ যেতে চাইলেও প্রথমে মিসরেই আশ্রয় নেন। 

মিসরের দক্ষিণাঞ্চলীয় যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদানকে নিয়ে কায়রো কর্তৃপক্ষ এখন ভয়ে আছেন, ছোটখাটো দল ছাড়া বড় ধরনের শরণার্থী দল মিসরে আসতে পারে। তারা আশ্রয়, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে আসছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১৫ হাজার সুদানি দারফুর অঞ্চল ত্যাগ করে চাদে আশ্রয় নিয়েছে। 

সুদান থেকে মিসরীয়রাও দেশে ফিরে আসছে। গত রোববার ৪৩৬ জন মিসরীয় স্থলপথে দেশে ফিরেছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ আবু জাইদ বলেছেন, মিসরের নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। 

ইতোমধ্যেই আনুমানিক যে চার মিলিয়ন সুদানী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল হয়ে উঠেছে, তাদেরকে মিসর উপসাগরীয় অঞ্চলে সুদানী অভিবাসীরা ঐতিহ্যগতভাবে যে লাভজনক চাকরির সন্ধান করে তার কিছু কিছু দিয়েছে। ২০১৯ সাল থেকেই সুদানিরা মিসরে আসতে শুরু করেছেন। তাদের সংখ্যা কত হতে পারে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। সুদানি নেতা ওমর আল-বাশার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই এই শরণার্থী সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। 

‘অবৈধ অভিবাসন ও পাচার প্রতিরোধ ও প্রতিরোধের জাতীয় সমন্বয় কমিটি’র প্রধান নাইলা গাবরের মতে, মিসরে প্রায় ৩০০,০০০ নিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছে।

news